সাইবার অপরাধীরা কম্পিউটারের গোপন তথ্য চুরি ও কম্পিউটারের ফাইল নষ্ট করার জন্য কম্পিউটার ব্যবহারকারীর অজান্তেই ভাইরাস প্রবেশ করায়। এই ভাইরাস থেকে নিরাপদ রাখাই এন্টিভাইরাসের কাজ। এন্টিভাইরাস হলে এমন একটি সফটওয়্যার যা ভাইরাস থেকে নিরাপত্তায় কাজ করে।
এন্টিভাইরাস কি
এন্টিভাইরাস হলো এমন এক ধরনের প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার যা মূলত কম্পিউটার ও অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইস সমূহকে ক্ষতিকর প্রোগ্রাম থেকে রক্ষা করে। এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার এর ডাটাবেজে ক্ষতিকর প্রোগ্রাম সমূহের একটি লিস্ট বা program দেওয়া থাকে। এন্টিভাইরাস কম্পিউটারে বা সিস্টেমে স্ক্যান করে তার ডাটাবেজে দেওয়া কোন ভাইরাসের মিল পেলে তা শনাক্ত করে ডিলিট করে। এন্টিভাইরাসের ডাটাবেজে দেওয়া ভাইরাস কোডিং এর বাইরেও কম্পিউটারে সন্দেহজনক অন্য কোন সফটওয়্যার দেখা দিলেও এন্টিভাইরা সেগুলোকে সনাক্ত করে। এভাবে কম্পিউটারকে সুরক্ষিত রাখতে কাজ করে এন্টিভাইরাস।
এন্টিভাইরাস নির্বাচন
কম্পিউটারকে ভাইরাস মুক্ত রাখতে একটি শক্তিশালী এন্টিভাইরাস নির্বাচন করা অত্যন্ত জরুরী। এন্টিভাইরাস নির্বাচনের ক্ষেত্রে এন্টিভাইরাসের ফায়ারওয়াল সিস্টেম, রিয়েল টাইম স্ক্যান , ম্যালওয়্যার ডিটেকশন সিস্টেম আছে কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে। এন্টিভাইরাসের মধ্যে ইন্টারনেট সিকিউরিটি সিস্টেম আছে কিনা তা যাচাই করতে হবে। বাজারে যে সকল এন্টিভাইরাস পাওয়া যায় এর মধ্যে বাংলাদেশ ক্যাসপারস্কি এন্টিভাইরাস বেশ পপুলার।
এন্টিভাইরাস ব্যবহার
এন্টিভাইরাস ইন্সটল করার পরে প্রথমেই রিয়েল টাইম প্রটেকশন চালু করতে হবে। তাহলে কম্পিউটারে ভাইরাসের প্রবেশের সাথে সাথে এন্টিভাইরাস তা ধরে ফেলবে। ইন্সটল করার পরে কম্পিউটারের অন্যান্য সফটওয়্যার গুলো এন্টিভাইরাস দিয়ে স্ক্যান করে নিতে হবে। পরবর্তীতে নতুন কোন সফটওয়্যার ইনস্টল করলে তা আগে এন্টিভাইরাস দিয়ে যাচাই করে নিতে হবে। মাসে অন্তত একবার হলেও ফুল স্ক্যান করতে হবে।
পেইড এবং ফ্রি দুই প্রকার এন্টিভাইরাস ই পাওয়া যায়। এন্টিভাইরাস ব্যবহারের সময় খেয়াল রাখতে হবে এটার মেয়াদ শেষ হয়েছে কিনা। মেয়াদ শেষ হলে অবশ্যই রিনিউ করে নিতে হবে।
0 Comments