Site icon OLD MaxTan

নিষিদ্ধ হলো বাংলাদেশ ছাত্রলীগ

ছাত্রলীগ আওয়ামী লীগের একটি অঙ্গ সংগঠন। ১৫ বছরের আওয়ামি দুঃশাসনের সময় ছাত্রলীগ ব্যাপক সন্ত্রাসবাদী, চাঁদাবাজি, লুটতরাজ, ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটিয়েছে। অপরাধীদের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ ছাত্রলীগ বা আওয়ামী লীগ নেয়নি। গত ১৫ বছরের সন্ত্রাসবাদের কারণে বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো।

ছাত্র ও সাধারণ জনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে গত আগস্টের ৫ তারিখ আওয়ামী লীগ সরকারএর পতন হয়। সরকার পতনের পর শেখ হাসিনা পালিয়ে যায় ভারতে। এরপর থেকেই আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের দুঃসময় চলতেছে। সাধারণ ছাত্র ও জনতা বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবি উঠায়। সেইসাথে রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন চুপ্পুর পদত্যাগও দাবি করে তারা। আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা দেয় । ২৩ অক্টোবর বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয় বিগত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী শাসনের সময় ছাত্রলীগ হত্যা, গণরুম নিয়ে রাজনীতি, ছাত্রাবাস এর সিট বাণিজ্য, ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন, টেন্ডারবাজি সহ প্রায় সকল অপরাধে জড়িত ছিল। যা মেইনস্ট্রিম মিডিয়াতে প্রচারিত হয়েছে এবং কিছু কিছু অপরাধ আদালত দাড়াও প্রমাণিত। এছাড়াও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রলীগ সশস্ত্র অবস্থায় মার মুখি ভূমিকায় ছিল।

ছাত্রদের দাবি ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসবাদ বিবেচনায় নিয়ে অন্তবর্তী কালীন সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন 2009 এর ১৮ এ প্রদত্ত ক্ষমতা বলে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এবং এই আদেশ অনতিবিলম্বে কার্যকর হবে বলা হয়।

Exit mobile version