যুগ পরিবর্তনের সাথে সাথে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যাও বেড়ে গেছে। সেই সাথে বেড়েছে অপরাধীও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে।
অনেকেই জানেন না, অনলাইনে কাওকে হেনস্থা করা মারাত্মক অপরাধ। যাকে হ্যারেজ করা হচ্ছে তিনি চাইলে খুব সহজেই মামলা করতে পারেন। যে বা যারা হ্যারেজ করে থাকে, তারা অনেকে মনে করে, তারা এনোনিমাস বা অপরিচিত। তারা ভাবে, যেহেতু তারা ফেক আইডি ব্যবহার করছে তাই তাদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব না।তাদের ধারনাটি সম্পূর্ণ ভুল। মনে রাখতে হবে, আইন শৃংখলা বাহিনী নিঃসেন্দেহে সাধারণ মানুষের চেয়ে এডভান্স টেকনোলজি ব্যবহার করে।
সাইবার নিরাপত্তায় আইন
বাংলাদের সরকার সাইবার অপরাধের জন্য আলাদা আইন প্রণয়ন করেছেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ অনুযায়ী ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবহার করে কোনো ব্যক্তি কাওকে হ্যারেজ করলে, সর্বোচ্চ আইন যাবজ্জীবন পর্যন্ত নির্ধারন করা আছে।কোনো ব্যাক্তি কারো ছবি বা ভিডিও বা আপত্তিকর ছবি ভিডিও এডিটেড বা নন এডিট তার অনুমতি ব্যতিত ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যবহার করলে তিনি অপরাধী হিসেবে গন্য হবে।
হ্যারেজের স্বীকার হলে কি করবেন?
কেও এধরনের সমস্যায় পড়লে অর্থাৎ হ্যারেজের স্বীকার হলে দ্রুত থানায় মামলা করুন। মামলা করার সময় অনলাইনে ব্যবহৃত আইডিটির স্ক্রীণশট, আপনার ছবি বা ভিডিও এর স্ক্রীণশট লিঙ্ক সাথে নিয়ে যাবেন।এছাড়াও জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে পরামর্শ নিতে পারেন। বাংলাদেশ পুলিশের সাইবার ইউনিটেও সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন। এত দ্রুত সেবা পাবেন।
আমাদের সহায়তা নিতে পারেন
কোনো হ্যারেজ কন্টেন্ট শুধুমাত্র অনলাইন থেকে রিমুভ করতে চাইলে ওল্ডমাস্তান পেজ এ যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা চেষ্টা করি, হ্যারেজ সমস্যার দ্রুত সমাধান করার জন্য।